গবেষণা ও একাডেমিক কাজকে আরও গতিশীল করতে শিখুন প্রয়োজনীয় Win + R কমান্ড!

Table of Contents

SHARE

গবেষণা ও একাডেমিক কাজকে গতিশীল করতে শিখুন প্রয়োজনীয় Win + R কমান্ড!

আপনি যদি একজন গবেষক, শিক্ষার্থী বা একাডেমিক কাজের সাথে যুক্ত থাকেন, তবে কম্পিউটারের গতি আপনার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। Windows-এর একটি শক্তিশালী ফিচার হলো ‘Run’ কমান্ড (Win + R), যা ব্যবহার করে আপনি моментально যেকোনো প্রোগ্রাম, ফোল্ডার বা সিস্টেম টুল চালু করতে পারেন। এর মাধ্যমে একদিকে যেমন আপনার মূল্যবান সময় বাঁচবে, তেমনি কাজের উৎপাদনশীলতাও বাড়বে।

নিচে গবেষণা ও একাডেমিক কাজের জন্য প্রয়োজনীয় কিছু Win + R কমান্ডের একটি সুবিন্যস্ত তালিকা দেওয়া হলো, যা আপনার প্রতিদিনের কাজকে আরও সহজ করে তুলবে।

ক্যাটাগরি-১: ফাইল ও ফোল্ডার ব্যবস্থাপনা (File & Folder Management)

explorer – ফাইল এক্সপ্লোরার চালু করার জন্য।
%userprofile% – আপনার ব্যক্তিগত ইউজার ফোল্ডার খোলার জন্য।
%appdata% – ইনস্টল করা সফটওয়্যারের সেটিংস ও ডেটা ফোল্ডার খুলতে।
. – সরাসরি আপনার ইউজার হোম ফোল্ডারে প্রবেশ করতে।
.. – Users ফোল্ডারে থাকা সকল ইউজারের তালিকা দেখতে।
recent – সম্প্রতি ব্যবহার করা সকল ফাইল ও ফোল্ডারের তালিকা দেখতে।

ক্যাটাগরি-২: লেখালেখি ও নোট নেওয়ার টুল (Writing & Note-taking Tools)

notepad – দ্রুত কোনো কিছু নোট করতে বা টেক্সট ফাইল তৈরি করতে।
write – সাধারণ লেখালেখি বা ডকুমেন্ট তৈরির জন্য WordPad চালু করতে।
mspaint – ছবি আঁকা ও সম্পাদনার জন্য Paint সফটওয়্যার খুলতে।
calc – হিসাব-নিকাশের জন্য ক্যালকুলেটর চালু করতে।
snippingtool – স্ক্রিনের যেকোনো অংশের স্ক্রিনশট নিতে।
osk – অন-স্ক্রিন বা ভার্চুয়াল কিবোর্ড চালু করতে।

ক্যাটাগরি-৩: সিস্টেম পারফরম্যান্স ও রক্ষণাবেক্ষণ (System Performance & Maintenance)

cleanmgr – ডিস্ক থেকে অপ্রয়োজনীয় ফাইল মুছে কম্পিউটারের গতি বাড়াতে।
%temp% – টেম্পোরারি ফাইল ডিলিট করে সিস্টেমকে দ্রুত করতে।
prefetch – পুরনো অ্যাপ্লিকেশন লোড ফাইল মুছে সিস্টেমের গতি বাড়াতে।
msconfig – কম্পিউটারের স্টার্টআপ প্রোগ্রাম নিয়ন্ত্রণ করতে।
defrag – হার্ডড্রাইভ ডিফ্র্যাগমেন্ট করে ফাইলের অ্যাক্সেস টাইম কমাতে।
taskmgr – টাস্ক ম্যানেজার চালু করে কোনো সফটওয়্যার বন্ধ করতে।

ক্যাটাগরি-৪: সিস্টেম তথ্য ও সমস্যা সমাধান (System Information & Troubleshooting)

dxdiag – গ্রাফিক্স কার্ড, সাউন্ড ও RAM-এর বিস্তারিত তথ্য জানতে।
msinfo32 – সিস্টেমের হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যারের সম্পূর্ণ কনফিগারেশন দেখতে।
winver – আপনার ব্যবহৃত উইন্ডোজের ভার্সন ও বিল্ড নম্বর জানতে।
cmd – কমান্ড প্রম্পট চালু করতে।
powershell – শক্তিশালী কমান্ড লাইন ইন্টারফেস PowerShell চালু করতে।
control – কন্ট্রোল প্যানেল খুলে সিস্টেমের সকল সেটিংস দেখতে।
appwiz.cpl – সরাসরি সফটওয়্যার আনইনস্টল করার অপশন চালু করতে।

ক্যাটাগরি-৫: নেটওয়ার্ক ও ইন্টারনেট (Networking & Internet)

ncpa.cpl – নেটওয়ার্ক কানেকশন (Wi-Fi/LAN) সেটিংস খুলতে।
inetcpl.cpl – ইন্টারনেট ও ব্রাউজার অপশন কনফিগার করতে।
ping google.com – ইন্টারনেট সংযোগ ঠিকভাবে কাজ করছে কি না, তা পরীক্ষা করতে।

এই কমান্ডগুলো নিয়মিত ব্যবহারের মাধ্যমে আপনি আপনার একাডেমিক কাজকে আরও সহজ, দ্রুত ও কার্যকর করে তুলতে পারবেন। আজই ব্যবহার শুরু করুন এবং নিজের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করুন!

এই কমান্ডগুলো ব্যবহার করা কি নিরাপদ?

হ্যাঁ, এই তালিকার বেশিরভাগ কমান্ডই সম্পূর্ণ নিরাপদ এবং দৈনন্দিন ব্যবহারের জন্য তৈরি। তবে regedit (Registry Editor) বা msconfig (System Configuration) এর মতো কিছু অ্যাডভান্সড টুল ব্যবহারের সময় সতর্ক থাকা উচিত। সিস্টেমের গুরুত্বপূর্ণ সেটিংসে ভুল পরিবর্তন করলে সমস্যা হতে পারে। তাই না জেনে কোনো কিছু পরিবর্তন না করাই ভালো।

যদি কোনো কমান্ড কাজ না করে, তবে কয়েকটি জিনিস পরীক্ষা করুন:

  • বানান: কমান্ডটির বানান সঠিক আছে কিনা দেখুন।
  • সফটওয়্যার: chrome বা firefox-এর মতো কমান্ডগুলোর জন্য ওই সফটওয়্যারটি আপনার কম্পিউটারে ইনস্টল থাকা আবশ্যক।
  • ভার্সন: কিছু কমান্ড পুরোনো বা নতুন নির্দিষ্ট কোনো Windows ভার্সনে কাজ নাও করতে পারে।

cmd (Command Prompt) হলো উইন্ডোজের পুরনো এবং সরল কমান্ড-লাইন টুল। অন্যদিকে, powershell হলো একটি আধুনিক, অনেক বেশি শক্তিশালী এবং স্ক্রিপ্টিং-এর জন্য ব্যবহৃত টুল। সাধারণ কাজের জন্য cmd যথেষ্ট, কিন্তু জটিল অটোমেশন বা অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ কাজের জন্য powershell বেশি কার্যকর।

হ্যাঁ, আপনি শর্টকাট (shortcut) তৈরি করে এবং সেটিকে সিস্টেম পাথে (System Path) যুক্ত করে নিজের কাস্টম কমান্ড তৈরি করতে পারেন। এটি কিছুটা অ্যাডভান্সড প্রক্রিয়া, তবে এর মাধ্যমে আপনি যেকোনো সফটওয়্যার বা ফোল্ডার নিজের দেওয়া নামে রান কমান্ড থেকে চালু করতে পারবেন।

একেবারেই না। সবগুলো কমান্ড মুখস্থ করার কোনো প্রয়োজন নেই। আপনার দৈনন্দিন কাজে যে ৫-৬টি কমান্ড সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন হয়, সেগুলো ব্যবহার করতে করতেই আপনার অভ্যাস হয়ে যাবে। এই তালিকাটি একটি রেফারেন্স হিসেবে সেভ করে রাখতে পারেন এবং প্রয়োজন অনুযায়ী দেখে নিতে পারেন।

A beautiful and organized website makes a business much more attractive to its buyers. If you want to build a website, contact me through one of the following means